বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত নিজেদের শ্রম আইনে বড় ধরনের সংশোধনী এনেছে কাতার সরকার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বহু প্রতীক্ষিত স্পন্সর চেঞ্জ আইনের অনুমোদন দিয়েছে কাতারের মন্ত্রিসভা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক পারস্য উপসাগরের দেশ কাতার। বর্তমানে দেশটিতে চলছে বিশাল নির্মাণযজ্ঞ।
এ নির্মাণযজ্ঞে নির্বিচারে শ্রম শোষণ চলছে বলে ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় বলা হয়। যে গবেষণাটি ছিল কাতারে বিদেশি শ্রমিকদের জীবনধারা নিয়ে।
এরপর থেকেই মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (এআই) ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তোপের মুখে ছিল কাতার সরকার। নড়েচড়ে বসে ফুটবলের বিশ্ব সংস্থা ফিফাও।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে, শ্রম আইনে সংশোধনীর মূল কারণ ফিফার মন রক্ষা করা।
এদিকে আইনের (সংশোধনী) খসড়া পেশের পর কাতারে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে তাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে মতামত চাওয়া হয়। মতামত চাওয়া হয় কাতারের সুশীল সমাজের কাছেও।
সবার মতামতের ভিত্তিতে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে কাতারের মন্ত্রিসভা।
সূত্র জানায়, সংশোধিত আইনে ‘কফিল’ বা ‘কফালা’ এবং খুরুজ শব্দগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। চাকরিদাতা এবং কর্মকর্তা বা কর্মচারী শব্দের ব্যবহার করা হবে।
আর বিদেশি শ্রমিকরা একটি চুক্তিনামার ভিত্তিতেই দুইপক্ষের সম্মতিতে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চাকরি করবেন। নতুন আইনে খুরুজ বা এক্সিট পারমিট সিস্টেম রহিত না করে একটি নতুন নিয়ম করা হচ্ছে।
সেই নিয়মের অধীনে যদি কোনো চাকরিদাতা তার অধীনস্থকে এক্সিট তথা দেশের বাইরে যেতে না দিতে চান, তাহলে তার সফরের কমপক্ষে তিনদিন আগে অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলকে জানাতে হবে।
কিন্তু চাকরিদাতা তার কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করতে পারবেন না। বরং তিনি তার বিরুদ্ধে পাবলিক প্রসিকিউশনে অভিযোগ করতে পারবেন।
তবে স্পন্সর চেঞ্জ আইনটি কাতার সরকারের অফিসিয়াল সাইটে গেজেট আকারে এখনও প্রকাশ করা হয়নি।